
বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল – বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানকে স্মরণ করেছেন । শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সকল গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্বে ১৯৬৯ সালের পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণঅদ্ভত্থান ছিল। ‘৭০ এর নির্বাচনের রায় মেনে না নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছিল; পূর্ব পাকিস্তান প্রতারিত হয়েছিল। ‘৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ তৈরী করলো। স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব পেল; সরকার পতনের পর গণতান্ত্রিক বহুদলীয় রাজনীতির চর্চা আবার শূরু হয় । পরবর্তীতে সামরিক এরশাদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ; ২০০৭ এ ১/১১ এ সামরিক শাসন আবার নির্বাচনে ফিরে আসা হাসিনা সরকার, প্রধান বিরোধীদলবিহীন নির্বাচন করে বাড়তি ১০ বছর বাংলাদেশ শাসন করেলেন; অতপর বিদায় । ইউনূস সরকার নির্বাচন ছাড়াই ৬ মাস পার করলেন ; অতপর নির্বাচন দিবেন দিবেন, ভোট শুরু হবে নতুন নির্বাচিত সরকার আসবে । সরকার বদল , গণআন্দোলন, অভ্যুত্থান এ সবই একটি চলমান প্রক্রিয়া । কিন্তু গত বছরগুলোতে শুর্ধু একটি পরিবর্তন স্পষ্ট তা হলো; প্রতি সরকারের আমলেই হাজার হাজার কোটি টাকা তৈরী হয়েছে আর দারিদ্রত্রা-গরিবি বেড়েছে। আর এসব কথিত ধনীরা ব্যাংক, সরকারি রাজস্ব লুটে বিত্তবান হয়ে শুধু গরিবকেই অবজ্ঞা করা শিখেছে। রিক্সাওয়ালাকে তুই বলা, দুর্বলকে থাপ্পর মারা ; বাসার কাজের লোককে লিফ্ট ব্যবহার করতে না দেয়া, গ্রামের গরিব স্বজনদের অস্বীকার করা, ভিক্ষুকের সাথে দুব্যবহার করা সহ নানা কুকর্মে জড়িত এসব ধনী পরিবারের সদস্যরা।
আমি যে বিষয়টি বড় করে দেখি তা হলো জনগনের প্রয়োজন মেটানো। সরকার যাবে আসবে কি? বৈষম্যহীণ স্বাধীন দেশে সাধারন খেটে খাওয়া মানুষগুলো অবহেলিত কেন? যারা আপনাদের ভোটার। শুধু মতাদর্শ,মুক্তস্বাধীনতা দিয়ে তো পেটের খিদা মেটে না। পেটের ক্ষুধা মেটানোর রাজনীতি ইউনূস সরকার কতটুকু বুঝে? সাধারন মানুষের নিরাপত্তার রাজনীতিইবা কোথায়? যুক্তি দিয়ে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে জনগনের মূল্যবান সময় জীবন থেকে নষ্ট করে দিচ্ছে এর ক্ষতিপুরণ কিভাবে পাবে জনগন।
হাসিনা নিজের পরিবারকে নিরাপদ করে; অর্থসম্পদে সংহত আছেন।
ইউনুস নিজের “গ্রামীন বেসরকারী দলকে” নিরাপদ করে কর মওকুপ করে, বিদেশে বাড়ি ঘর বানিয়ে, ক্লিন্টন ফাউন্ডেশন এ মিলিয়ন ডলার দান করে, ট্রাষ্টী নাম দিয়ে নিজের দখলে সম্পদ রেখে বেশ ভাল আছেন কি? বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষ গরিব; এসব মানুষের বরাদ্দ কোথায়?
এখন আসা যাক রাজনৈতিক দলের কথা? জামায়াত সম্প্রতি বলে বেড়াচ্ছে তাদের ৩ কোটি ভোট আছে (রোহিঙ্গা-বিহারীসহ) । বিএনপির দাবী তাদের ৩০ শতাংশ ভোট আছে।
আওয়ামীলীগ এখনো দাবী করে তাদেরও ৩০ শতাংশ ভোট ব্যংক রয়েছে সংখালঘুসহ। কিছু ভোট আছে জাতীয় পার্টিরও। আনুমানিত এ ভোটের হিসেব যদি ধরেও নেই সঠিক; তাহলে আমার প্রায় কোন দলের ভোটাররা সবচেয়ে গরিব এখন?
মোটামুটি বিএনপি এবং জামায়াত যৌথভাবে, জাতীয় পাটি, আওয়ামীলীগ পর্যাক্রমে বাংলাদেশ শাসন করেছে; কি? গরীব ভোটার মানুষের আর্থিক দায়িত্ব কি তারা নিচ্ছে?
ভোটের হিসেবে সবদল ‘কোটিজনপতি‘ কি? ভোটারদের দারিদ্র মোচনে তাদের দলীয় কোন অবদান আছে কিনা ব্যাপক ভিত্তিতে তা আজ বিচার্য হওয়া উচিত বলে মনে করি। বৈষম্যহীন সমাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গরিবকে খাদ্য না দিয়ে, ভোটের দাবী; ক্ষমতার রাজনীতি করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করা উচিত এ সব রাজনৈতিক দলগুলোকে। দারিদ্র বিমোচনের কোন কর্মসূচী রাজনৈতিক দলগুলোর গঠনতন্ত্রে নেই; নেই কোন বাস্তবভিত্তিক কর্মসূচী কিংবা উদ্যোগ-প্রচেষ্ঠা । জনগন বাদ দিলাম; এমনকি দলীয় গরিব কমীদের জন্যও নেই কোন ফান্ড । যেখানে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়নে অর্থের অভাব নেই। কারণ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যেতে আরো অর্থবিত্তের মালিক হতে বিনিয়োগে করতে সঠিক খাত এটি।
দয়া করে মজলুম জননেতা নেত্রী হোন; গরিবের চাহিদা বেশী না। গরিবের খাদ্য নিরাপত্তা , জীবনের নিরাপত্তার রাজণীতি করুন । নিশ্চিত করুন সবার আগে গরিব মানুষের স্বার্থ; গঠন করুন’ গরিব রক্ষার কমিশন’। খুঁজে বের করুন কারা গরিবের শত্রু- প্রকৃত গণশত্রু। বিচারের মুখোমুখি করুন; শাস্তি নিশ্চিত করুন। ‘গরিব কমিশন গঠন’ করে নিয়মিত গরিবের হক আদায় নিশ্চিত করুন। পদক্ষেপ নিন এখনই। একদিন জুলাই অভ্যুত্থানের মতো ’গরিবের অভ্যুত্থান’ মোকাবিলা করতে হবে দেশের রাজনিতিবিদ, রাজনৈতিক দল এবং সামরিক-বেসামরিক আমলা সকলকে । হিসেব দিতে হবে সকল গ্রামীণ সুদে কেনা ফ্লাট, প্লট, দোকান-জমির; সরকারী নদী,খাল,জলাশয়, বনাঞ্চল দখলের ।
সিনিয়র সাংবাদিক মাহাথীর খান ফারুকী
প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্ত ব্যক্তিগত। সীমান্ত টিভি কর্তৃপক্ষ এর জন্য দায়ী নয়।
মন্তব্য লিখুন
আরও খবর
“পুরুষ” ও “নারী” এ দুটি লিঙ্গ ব্যতীত আমেরিকাতে...
“পুরুষ” ও “নারী” এ দুটি লিঙ্গ...
খুনিরা ‘৭৫ এ খুন করেছিল; ২৪ এ ব্যর্থ...
খুনিরা ‘৭৫ এ খুন করেছিল; ২৪...
নভেম্বরে এলো ২৬ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স
নভেম্বরে এলো ২৬ হাজার কোটি টাকার...
নভেম্বরে এলো ২৬ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স
নভেম্বরে এলো ২৬ হাজার কোটি টাকার...
নভেম্বরে এলো ২৬ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স
নভেম্বরে এলো ২৬ হাজার কোটি টাকার...
নভেম্বরে এলো ২৬ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স
নভেম্বরে এলো ২৬ হাজার কোটি টাকার...