আখাউড়া পৌরসভার নাগরিকরা যানজট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে অগ্রাধিকার চান।

শাহাবউদ্দিন আহমেদ আখাউড়া প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার প্রধান সমস্যা হিসেবে যানজট, নাজুক ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও জলাবদ্ধতাকে চিহ্নিত করেছেন পৌরবাসী। এ ছাড়া ফুটপাত দখল, ময়লার স্তুপ, মাদক, চুরি-ছিনতাই ও নাগরিক সেবা প্রদানে নানা ভোগান্তির বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

বুধবার সকালে পৌরসভার হলরুমে আয়োজিত “গণশুনানি ও নাগরিক মতামত” অনুষ্ঠানে এসব বিষয় নিয়ে সরব ছিলেন সুধীসমাজ, নাগরিক ও পেশাজীবীরা। সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জি.এম. রাশেদুল ইসলাম।

সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর বাহার মিয়া, সাবেক কাউন্সিলর মোঃ মন্তাজ মিয়া, স্বপন মিয়া, রফিকুল ইসলাম শিশু, আতিকুর রহমান, সাবেক মহিলা কাউন্সিলর নারগিছ বেগম, সমাজসেবক সফিউল আলম স্বপন, শিক্ষক সফিকুল আলম তুরান, আরিফুর রহমান খাদেম, সিরাজ মিয়া, সুকান্ত চক্রবর্তী, শিক্ষক অলোক কুমার চক্রবর্তী, বিএনপি নেতা আবুল ফারুক বকুল,এবং শিক্ষক আকিলা বিনতে সহিদ, বিভিন্ন প্রিন্ট ও মিডিয়ার সাংবাদিক সহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

বক্তারা বলেন, পৌর এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকার্যকর, ময়লা-আবর্জনা সঠিকভাবে পরিষ্কার হয় না। বিশেষ করে রেলওয়ে স্কুলের সামনের ময়লার ভাগাড় থেকে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।

জনপ্রতিনিধি না থাকায় নাগরিক সেবায় নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা। এছাড়া শহরে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা রোধে পুলিশের টহল জোরদার করার দাবি জানান বক্তারা।

মাদক প্রতিরোধেও প্রশাসনের পাশাপাশি জনসাধারণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। শহরের খালগুলো পরিষ্কারের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনের পরামর্শ দেন অনেকে।

পৌর প্রশাসক জি.এম. রাশেদুল ইসলাম আশ্বাস দেন, সীমিত আর্থিক সামর্থ্যের মধ্যেও নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে পৌর প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ঈদে বর্জ্য অপসারণ, যানজট নিরসন এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, কাগজে-কলমে আখাউড়া একটি ‘এ’ ক্যাটাগরির পৌরসভা হলেও বাস্তবে সে অনুযায়ী সেবা পাচ্ছেন না সাধারণ জনগণ—এমন মন্তব্য উঠে আসে উপস্থিত নাগরিকদের মুখে।