• সারাদেশ
  • আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমসি বাণিজ্য: রোগীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগে ‘মালি’ বদলী।

আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমসি বাণিজ্য: রোগীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগে ‘মালি’ বদলী।

১২:৩৬ অপরাহ্ণ , ২১ মে ২০২৫
আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমসি বাণিজ্য: রোগীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগে ‘মালি’ বদলী।

 

শাহাবউদ্দিন আহমেদ, আখাউড়া প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি) বাণিজ্যের অভিযোগে মালি পদে কর্মরত সোহেল মিয়াকে বদলী করা হয়েছে। বুধবার (২১ মে) জেলা সিভিল সার্জনের নির্দেশে তাকে আখাউড়া থেকে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলী করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল খান জানান, বদলির আদেশ পাওয়ার পর দুপুরে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত বছরের শেষ দিকে আখাউড়া পৌরশহরের বাসিন্দা হেলাল মিয়া তার স্ত্রী ও কন্যাসহ তিনজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান। মামলার প্রয়োজনে হাসপাতাল থেকে এমসি নিতে গেলে মালি সোহেল মিয়া দ্রুত এমসি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে হেলাল মিয়ার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেন। কিন্তু পরে তিনি সেই সার্টিফিকেট দিতে ব্যর্থ হন এবং টাকা ফেরতও দেননি। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী হেলাল মিয়া লিখিত অভিযোগ দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে।

অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জনের নিকট পাঠানো হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সোহেল মিয়াকে বদলী করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ নোমান মিয়া।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারি সোহেল মিয়া আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘মালি’ পদে যোগদান করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই তিনি নিজের দায়িত্ব ফেলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ড্রেসিং, সেলাই ও এমসি সংক্রান্ত নানা কাজ করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে এমসি বাণিজ্যের একাধিক অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে উঠেছে।

এ বিষয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকেই বলছেন, একজন মালির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির এভাবে হাসপাতালের প্রশাসনিক বা চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে জড়িত থাকা অনৈতিক এবং এর যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

মন্তব্য লিখুন

আরও খবর