• সারাদেশ
  • ই-অরেঞ্জ সিও ও যুবলীগ নেতা আমান উল্লাহ গ্রে’ফতার, নানা পক্ষের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা

ই-অরেঞ্জ সিও ও যুবলীগ নেতা আমান উল্লাহ গ্রে’ফতার, নানা পক্ষের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা

৬:১৯ পূর্বাহ্ণ , ২৮ জুন ২০২৫
ই-অরেঞ্জ সিও ও যুবলীগ নেতা আমান উল্লাহ গ্রেফতার, নানা পক্ষের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা

শাহীন আলম জয়: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ বিডির সিও ও ঢাকা জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আমানুল্লাহ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানা পুলিশ। শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিমানবন্দর এলাকার এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আমান উল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাসলিমা।
তবে এই হত্যা মামলাটি জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হয়েছিল কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিশেষ সূত্রে জানা যায়, আমান উল্লাহকে গ্রেফতারের পর বিকেল থেকে নানা পক্ষ তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রতারিত ভুক্তভোগী গ্রাহকরা অনড় থাকায় পুলিশ তাকে ছাড়েনি।

উল্লেখিত ই-অরেঞ্জ কোম্পানিটি মূলত ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার ব্র্যান্ড এম্বাসেডর ও মালিকানা আছে এমন আস্তার ভিত্তিতে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করা হয়েছিল অনেকেই আবার জানতেন কোম্পানিটির মূল মালিক ক্রিকেটার মাশরাফি তাই বেশিরভাগ ক্রেতারাই অনলাইনে প্রোডাক্ট অর্ডার করে টাকা দিয়েছেন কিন্তু প্রোডাক্ট হাতে পাইনি। হঠাৎ কোম্পানি ও তাদের ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর গ্রাহকরা সে সময় রাজপথে আন্দোলন করে গুলশান সহ বিভিন্ন থানায় মামলাও করেন এরপর বিষয়টি মাশরাফির নজরে আসলে গ্রাহকদের ডেকে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে মাশরাফি ও আওয়ামী সরকারের উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায় বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে জানা যায় ।

জানা যায়, আমানুল্লাহকে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় ২০২১ সালে ১৮ আগস্ট গুলশান থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। আন্দোলনের মুখে তখন ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন তৎকালীন আদালত।

সে সময় সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানের বিরুদ্ধে ই কমার্সের নামে গ্রাহকদের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হলে তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান। সেই মামলারও আসামি যুবলীগ নেতা আমান উল্লাহ চৌধুরী ও গুলশান থানার তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা।

মন্তব্য লিখুন

আরও খবর