সাগর দেব,কুমিল্লা প্রতিবেদকঃ একটি জাতির উন্নয়ন নির্ভর করে তার শিক্ষার মান এবং শিক্ষকদের আদর্শিক নেতৃত্বের উপর। আর সেই আদর্শিক নেতৃত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলেন মো. সাইফুল ইসলাম—বর্তমানে কুমিল্লা পাঠশালা কলেজের অধ্যক্ষ। শিক্ষকতা শুধু তাঁর পেশা নয়, এটি তাঁর ব্রত, নেশা ও আত্মার আহ্বান। তাঁর সুদীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনের অভিজ্ঞতা, শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিকতা এবং আধুনিক নেতৃত্বদক্ষতা তাঁকে কুমিল্লার শিক্ষা-পরিমণ্ডলে একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।
মো. সাইফুল ইসলাম কুমিল্লা জেলার এক শিক্ষিত ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন মেধাবী, অনুশাসনপ্রিয় এবং দায়িত্বশীল। পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধে বেড়ে ওঠা এই শিক্ষার্থী ছোটবেলা থেকেই ছিলেন বইপ্রেমী ও চিন্তাশীল। তার পারিপার্শ্বিক শিক্ষা ও পারিবারিক অনুপ্রেরণাই পরবর্তীকালে তার পেশাগত জীবনে গঠনমূলক ভূমিকা রাখে।
শিক্ষা অর্জনের পর তিনি শিক্ষকতা পেশায় আত্মনিয়োগ করেন, যেখানে তিনি কেবল পাঠদানেই সীমাবদ্ধ থাকেননি, বরং শিক্ষার্থীদের মনস্তত্ত্ব বুঝে তাদের জন্য একপ্রকার পথপ্রদর্শক হয়ে উঠেন। তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে শুধু জ্ঞান নয়, নৈতিকতা, মানবিকতা ও সমাজচেতনার বীজ বপন করেছেন।
কুমিল্লা পাঠশালা কলেজে যোগদানের পর থেকেই তিনি শিক্ষার মানোন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে আসছেন। তার পাঠদানের ধরন ছিল সহজবোধ্য, বাস্তবধর্মী এবং উৎসাহব্যঞ্জক, যা শিক্ষার্থীদের মনোজগতে স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।
বর্তমানে তিনি কুমিল্লা পাঠশালা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত। একজন সফল প্রশাসক হিসেবে তিনি প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও আধুনিক ব্যবস্থাপনার ভিত্তিতে একটি শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলেছেন।
এছাড়াও তিনি শিক্ষক ও কর্মচারীদের মাঝে সমন্বয় ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন, যা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নে অনন্য অবদান রেখেছে।
মো. সাইফুল ইসলাম বিশ্বাস করেন, “শিক্ষা কেবল শ্রেণিকক্ষে সীমাবদ্ধ নয়—এটি জীবনের প্রতিটি স্তরে প্রভাব বিস্তার করে।” সেই চেতনায় তিনি কলেজে নিয়মিতভাবে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, নাট্য উৎসব, কবিতা আবৃত্তি, খেলাধুলা এবং জাতীয় দিবস উদযাপন করে থাকেন।
তাঁর নেতৃত্বে কলেজ স্থানীয় সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডেও অংশ নেয়, যেমন—বৃক্ষরোপণ, রক্তদান কর্মসূচি, দুর্যোগ-উপদ্রুত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা ইত্যাদি।
মো. সাইফুল ইসলাম একজন বিনয়ী, আত্মপ্রত্যয়ী এবং দূরদর্শী মানুষ। তিনি শিক্ষা ও সমাজকে দেখেন উন্নয়নের দুই অপরিহার্য স্তম্ভ হিসেবে। তার ব্যক্তিত্বে রয়েছে নম্রতা, নেতৃত্বগুণ, আন্তরিকতা এবং দায়বদ্ধতা।
তিনি সবসময় শিক্ষার্থীদের বলেন—
“তোমরা শুধু ভালো ছাত্র নয়, ভালো মানুষ হও। কারণ জ্ঞান দিয়ে সফলতা আসে, আর মূল্যবোধ দিয়ে আসে শ্রদ্ধা।”
তিনি বিশ্বাস করেন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষার গুণগত পরিবর্তনই হচ্ছে প্রধান হাতিয়ার। তাই তিনি সবসময় প্রযুক্তি-ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা, গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষানীতি অনুসরণের পক্ষে।
তাঁর লক্ষ্য—কুমিল্লা পাঠশালা কলেজকে একটি মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা, যেখানে শিক্ষার্থীরা কেবল পরীক্ষার জন্য নয়, বরং জীবনের জন্য প্রস্তুত হবে।
মো. সাইফুল ইসলাম কেবল একজন শিক্ষাবিদ নন, তিনি একজন পথপ্রদর্শক, একজন দার্শনিক এবং একজন নির্মাতা। তাঁর হাত ধরেই বহু শিক্ষার্থী জীবনের সঠিক পথ খুঁজে পেয়েছে, পেয়েছে আশার আলো।
এই সমাজে তাঁর মতো মানুষেরাই শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে জাতি গঠনে অবদান রাখেন। মো. সাইফুল ইসলাম সেই আলোকবর্তিকার নাম, যিনি নীরবে-নিভৃতে জাতি গঠনের পবিত্র কাজে আত্মনিয়োগ করে চলেছেন।
অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর: মাহাথীর খান ফারুকী, অনলাইন এডিটর: শাহীন আলম জয়
নিউইয়র্ক অফিস: ৩৯৪৭,৬৩ স্ট্রিট, ফ্লোর-০১, উডসাইট, এনওয়াই-১১৩৭৭, নিউইয়র্ক সিটি, ইউএসএ। ফোন: +১(৩৪৭)৭৪১৪৬২৯
নিউজ ই-মেইল:- simantonewstv@gmail.com
©️২০২৫ সর্বস্বত্ব ®️ সংরক্ষিত। সীমান্ত টিভি