• জাতীয়
  • ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস আজ

ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস আজ

৬:২৮ পূর্বাহ্ণ , ৫ আগস্ট ২০২৫
ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস আজ

সীমান্ত টিভি নিউজ ডেস্ক: আজ ৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক যুগান্তকারী দিন, যা ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ নামে পরিচিত। ২০২৪ সালের এই দিনে ছাত্র-জনতা-শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগে বাধ্য হন এবং দীর্ঘদিনের একনায়কতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটে। সেই ঐতিহাসিক ঘটনার পর দিনটি ‘৩৬ জুলাই’ হিসেবেও পরিচিতি পায়, যা আজ জাতীয়ভাবে উদ্‌যাপিত হচ্ছে।

দিবসটি উপলক্ষে সরকার আজ সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। দেশের ৬৪টি জেলায় সকাল ৯টায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে’ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পাশাপাশি সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া, প্রার্থনা ও উপাসনার আয়োজন করা হয়েছে।

রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’। মূল মঞ্চে আয়োজন করা হয়েছে আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম, আলোকসজ্জা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার। বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে দিবসটির কেন্দ্রীয় ঘোষণা পাঠ করবেন দেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন।

সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে ড্রোন শো এবং রাত ৮টায় শুরু হবে দেশসেরা ব্যান্ডদলগুলোর কনসার্ট, যেখানে থাকবে বিপুলসংখ্যক দর্শকের অংশগ্রহণ।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে বলেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছিল গণতন্ত্রের বিজয়ের দিন। ছাত্র-জনতার দুর্বার আন্দোলন একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটায়। এই ঐতিহাসিক বিজয়ের বার্ষিকীতে আমি সকল দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস তার বাণীতে উল্লেখ করেন, “জুলাই আমাদের দেশকে অন্যায়, দুর্নীতি ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শিখিয়েছে। যারা এই অর্জনকে নস্যাৎ করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।”

এ উপলক্ষে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ নানা রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে দেশব্যাপী।