জোহরা আজিন মাহাথীর রিপোর্ট যুক্তরাষ্ট্র থেকে: নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় সাপ্তাহিক ‘বাংলাদেশ’-এর সম্পাদক, প্রখ্যাত রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক ডা. ওয়াজেদ এ খানের নতুন গ্রন্থ ‘বাংলাদেশের স্বপ্ন ও চব্বিশের গণঅভুত্থান’–এর প্রকাশনা অনুষ্ঠান কুইন্সের কিউ গার্ডেন এলাকার আগ্রা প্যালেস হলে সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিকতা ও রাজনৈতিক চিন্তাশীলতার মেলবন্ধনে লেখা এ গ্রন্থে ডা. খান বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা, জনগণের স্বপ্ন, ভবিষ্যতের সম্ভাবনা এবং ২০২৪ সালের সম্ভাব্য গণআন্দোলনের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন।
অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক প্রবাসী বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সদস্যরা, লেখক, শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসান ফেরদৌস এবং কবি জহিরুল ইসলাম যিনি বইটির প্রাসঙ্গিকতা এবং সময়োপযোগী বিশ্লেষণের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে গ্রন্থটির উপর একটি আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচকরা বলেন, ডা. খান কেবল একজন সাংবাদিক নন, বরং তিনি একাধারে একজন গবেষক ও দার্শনিক পর্যবেক্ষক। তার লেখা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ, যুক্তিনিষ্ঠ এবং গভীর বিশ্লেষণধর্মী। বইটি পাঠকের চিন্তাজগতে নাড়া দেবে এবং বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের ধারাকে উপলব্ধি করতে সহায়ক হবে বলে মত প্রকাশ করেন বক্তারা।
ডা. খান তার বক্তব্যে বলেন, “এই বইটি আমি লিখেছি দেশের মানুষকে নিয়ে, তাদের স্বপ্ন নিয়ে, এবং সেই স্বপ্ন কীভাবে আজও পূর্ণতা পায়নি—তা নিয়েই আমার গভীর ভাবনা। আমি বিশ্বাস করি, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই আগামী দিনের বাংলাদেশ গঠনের প্রধান চালিকাশক্তি হবে।” তিনি আরও বলেন, “একটি গণতান্ত্রিক শাসনের বাংলাদেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশে গত জুলাই এবং আগস্টে যে গণঅভ্যুত্থান অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা ছিল একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত। এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মানুষ একটি নতুন সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছে—যেখানে থাকবে না বৈষম্য, থাকবে অধিকার প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা। কিন্তু এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দরকার নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, যেটিতে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিতরে থাকবে প্রকৃত গণতন্ত্র।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসান ফেরদৌস মন্তব্য করেছেন যে, বইটির বিভিন্ন বিষয়ে বহুমাত্রিকভাবে বর্ণনা রয়েছে এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ, বিবেচনা ও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তবে সবকিছুর সমন্বয়ে এটি একটি সময়োপযোগী ও গঠনমূলক ভালো উপস্থাপন বলে মনে করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে কবি জহিরুল ইসলাম বইটির গুরুত্ব সামনে রেখে বলেন, “এই বইটার ইংরেজি অনুবাদ করা খুব জরুরি। আমি ইতোমধ্যে বাজারের সঙ্গে কথা বলেছি, ইংরেজি অনুবাদ ও প্রকাশনার জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করব।”
অনুষ্ঠানের শেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। পরে উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে বইটি বিতরণ করা হয় এবং লেখকের সঙ্গে মতবিনিময় ও সেলফি তোলার আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়। এটি ডা. ওয়াজেদ এ খানের বহু প্রতীক্ষিত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন, যা প্রবাসী বাংলাদেশি পাঠকদের পাশাপাশি দেশের রাজনৈতিক সচেতন মহলেও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর: মাহাথীর খান ফারুকী, অনলাইন এডিটর: শাহীন আলম জয়
নিউইয়র্ক অফিস: ৩৯৪৭,৬৩ স্ট্রিট, ফ্লোর-০১, উডসাইট, এনওয়াই-১১৩৭৭, নিউইয়র্ক সিটি, ইউএসএ। ফোন: +১(৩৪৭)৭৪১৪৬২৯
নিউজ ই-মেইল:- simantonewstv@gmail.com
©️২০২৫ সর্বস্বত্ব ®️ সংরক্ষিত। সীমান্ত টিভি