• রাজনীতি
  • জামায়াতের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা

জামায়াতের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা

৬:৪২ পূর্বাহ্ণ , ৩ নভেম্বর ২০২৫
জামায়াতের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা

সীমান্ত টিভি নিউজ ডেস্ক: বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ায় বিএনপির তিনটি জায়গায় গুরুতর আপত্তি রয়েছে।একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “প্রথমত, যেদিন জুলাই সনদে আমরা স্বাক্ষর করেছি, সেদিন পুরো ডকুমেন্টটি আমাদের দেওয়া হয়নি। পরে ঐকমত্য কমিশনে যেসব বিষয়ে আলোচনা ও ঐক্যমত হয়েছে, তার প্রতিফলন মূল সনদে পাওয়া যায়নি। এর দুটি নির্দিষ্ট উদাহরণ আমাদের মহাসচিব ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেছেন।”

তিনি জানান, সংবিধানের ৪(ক) অনুচ্ছেদে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অফিস-আদালতে না রাখার বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল এবং এতে সব দলই একমত হয়েছিল। একইভাবে, ১৫০ অনুচ্ছেদের পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিল সংবিধানে না রাখার বিষয়েও ঐকমত্য হয়েছিল। কিন্তু এসব প্রস্তাবের প্রতিফলন মূল সনদে দেখা যায়নি।

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা করে বিএনপি “নোট অব ডিসেন্ট” থেকে সরে আসতে পারে—এনসিপির এমন মন্তব্যের জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, “এই মুহূর্তে নোট অব ডিসেন্ট থেকে সরে আসার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমাদের আপত্তি নীতিগত।”

তিনি আরও বলেন, “সংবিধান সংস্কার পরিষদের বিষয়েও আমাদের আপত্তি আছে। কারণ ঐকমত্য কমিশনে এটি নিয়ে আলোচনা হয়নি বা দলগুলোর মধ্যে এ বিষয়ে কোনো ঐক্যমত হয়নি। এরপরও পরবর্তী পার্লামেন্টকে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।”

রুমিন ফারহানা বলেন, “২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার শেষ করতে হবে—এমন বাধ্যতামূলক সময়সীমা নির্ধারণ বিশ্বের কোনো দেশেই নেই। সংবিধান পরিবর্তনের জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে, সেটি অনুসরণ করেই সংশোধন করতে হয়।”

গণভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময় গণভোট আয়োজন সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, এর জন্য অন্তত দেড় মাস অতিরিক্ত সময় এবং তিন হাজার কোটি টাকার বাড়তি ব্যয় লাগবে। ডিসেম্বরের ১৭ তারিখের আগে এই গণভোট আয়োজন বাস্তবসম্মত নয়।”

জামায়াত প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেত্রী বলেন, “আমাদের দেশের কোনো রাজনৈতিক দলের এত আগে থেকে এমন সংগঠিত প্রস্তুতি নেই, যতটা জামায়াতের আছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পিতভাবে মাঠে কাজ করছে। কিন্তু নির্বাচনকে বিলম্বিত করে সুবিধা নেওয়ার কৌশল কোনো দলেরই গ্রহণযোগ্য নয়।”

মন্তব্য লিখুন

আরও খবর