• জাতীয়
  • ড. ইউনূস ও দুদককে উকিল নোটিশ পাঠালেন টিউলিপ সিদ্দিক

ড. ইউনূস ও দুদককে উকিল নোটিশ পাঠালেন টিউলিপ সিদ্দিক

৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ , ২৪ জুন ২০২৫
ড. ইউনূস ও দুদককে উকিল নোটিশ পাঠালেন টিউলিপ সিদ্দিক

সীমান্ত টিভি নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির শীর্ষস্থানীয় নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে তিনি দাবি করেছেন, এই দুই পক্ষ তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারে লিপ্ত এবং ব্রিটিশ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছেন।

স্কাই নিউজ জানিয়েছে, লন্ডনভিত্তিক আইনি প্রতিষ্ঠান Stephenson Harwood LLP এই নোটিশের পেছনে কাজ করেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, টিউলিপের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এবং তার নির্বাচনী এলাকায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতেই এই কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ মার্চ ও ১৫ এপ্রিল দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। পরে ৪ জুন ড. ইউনূসকেও একটি চিঠি পাঠানো হয়। তবে কোনো চিঠিরই জবাব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছে আইনজীবী প্রতিষ্ঠানটি।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিক একটি মিথ্যা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন এবং সম্পূর্ণরূপে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। টিউলিপ দাবি করেন, ড. ইউনূসের লন্ডন সফরের সময় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুরোধ জানানো হলেও সেটি প্রত্যাখ্যাত হয়। তা ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ড. ইউনূসের ভূমিকা এখানে গভীরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ।

পরবর্তীতে বিবিসি রেডিওতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, এটি একটি আইনি বিষয়, এতে আমি জড়াতে চাই না। নোটিশে তার এই মন্তব্যকে দায়সারা ও উদ্বেগজনক বলা হয়েছে। আইনি নোটিশে আরও অভিযোগ করা হয়, একজন নির্বাচিত বিদেশি জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনার আগে প্রধান উপদেষ্টার উচিত ছিল নিরপেক্ষভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা, যা তিনি করেননি।

নোটিশে ৩০ জুনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক জবাব চাওয়া হয়েছে। অন্যথায়, টিউলিপ সিদ্দিক পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে ড. ইউনূস বা দুদকের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ঘটনা আন্তর্জাতিক মহলেও আলোড়ন তুলতে পারে।