• জাতীয়
  • ভোটার হালনাগাদে বাড়ি পরিদর্শন পদ্ধতি বাদ দিতে চায় ইসি

ভোটার হালনাগাদে বাড়ি পরিদর্শন পদ্ধতি বাদ দিতে চায় ইসি

৬:২৫ পূর্বাহ্ণ , ৮ অক্টোবর ২০২৫
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ বাদ দিতে চায় ইসি

সীমান্ত টিভি নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকা হালনাগাদে বড় ধরনের পরিবর্তনের পথে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের প্রচলিত পদ্ধতি বাদ দিয়ে অনলাইনভিত্তিক নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও কার্যকর করার উদ্যোগ নিচ্ছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আয়োজিত এক সংলাপে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন,

“ভোটার নিবন্ধন এখন সারা বছরই চালু থাকে। কেউ ১৮ বছরে পৌঁছালেই ভোটার হতে পারে। শুধু বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে স্থানীয় নির্বাচন কার্যালয়ে যেতে হয়। ভবিষ্যতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিধান তুলে দেওয়ার চিন্তা করছি, কারণ অনলাইন নিবন্ধন ব্যবস্থাই এখন সবচেয়ে বাস্তবসম্মত।”

তিনি জানান, সর্বশেষ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে, কারণ কমিশন নিজেই তালিকার মান যাচাই করতে চেয়েছিল। “বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ বলেন তিনি।

কমিশনার সানাউল্লাহ আরও বলেন, অনেক জায়গায় আমাদের কর্মীরা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে পারেন না। বহুতল ভবনের বাসিন্দারা নিচ থেকে তথ্য পাঠান। আবার শ্রমজীবী মানুষদের দিনের বেলা পাওয়া যায় না। এসব কারণে পুরনো পদ্ধতি আর বাস্তবসম্মত নয়।”

তিনি জানান, বর্তমানে দেশের প্রায় সব অঞ্চলে মোবাইল নেটওয়ার্ক পৌঁছে গেছে, এমনকি পার্বত্য চট্টগ্রামেও। ফলে নাগরিকরা অনলাইনে নিজেরাই ভোটার নিবন্ধন করতে পারবেন। স্থানীয় কম্পিউটার দোকান, অনলাইন সেবা কেন্দ্র ও ইউনিয়ন পরিষদ অফিস থেকেও এই সেবা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।

২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর থেকে ইসি সাতবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করেছে— ২০০৯-২০১০, ২০১২-২০১৩, ২০১৫-২০১৬, ২০১৭-২০১৮, ২০১৯-২০২০, ২০২২-২০২৩ এবং সর্বশেষ ২০২৫ সালে।

সর্বশেষ তথ্যানুসারে দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৫৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪১ লাখ ৪৫৫ জন, নারী ভোটার ৬ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৮১৯ জন এবং হিজড়া ভোটার ১,২৩০ জন।

নির্বাচন কমিশনের আশা, নতুন এই উদ্যোগ সফল হলে ভবিষ্যতে নাগরিকরা বাড়ি বাড়ি না গিয়েও সহজে অনলাইনে ভোটার নিবন্ধন করতে পারবেন যা সময়, ব্যয় ও জনবল সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য লিখুন

আরও খবর