সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ৫ আগস্ট ২০২৪ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে, যারা পূর্বে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সামাজিক বা রাজনৈতিক কারণে ছবি তুলেছেন, তাদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'আওয়ামী লীগের দালাল' বলে চিহ্নিত করে মামলা, হামলা ও হয়রানির শিকার করা হচ্ছে। অথচ, অতীতে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের অনেকেই আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করেছেন। আমাদের মনে রাখা উচিত, আমরা সবাই সামাজিক মানুষ; দলীয় পরিচয়ের বাইরে আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবন রয়েছে। শুধুমাত্র কারো সাথে ছবি থাকার কারণে তাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করা অনুচিত এবং এটি সামাজিক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের জন্য হুমকিস্বরূপ। আসুন, আমরা পরস্পরের সামাজিক সম্পর্ককে সম্মান করি এবং অযথা হয়রানি থেকে বিরত থাকি।
একজন স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে, প্রত্যেকেরই নিজস্ব মতামত ও বিশ্বাস অনুযায়ী রাজনৈতিক দল নির্বাচন ও সমর্থন করার অধিকার রয়েছে। এটি আমাদের সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দল সমর্থন করার কারণে কাউকে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অবিচারমূলক। যদি কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্যায় করে থাকে, তবে তা আইনানুগভাবে বিচার্য। কিন্তু কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল সমর্থন করার জন্য কাউকে দোষারোপ করা আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। আসুন, আমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহনশীলতার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তুলি, যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের মতামত ও রাজনৈতিক বিশ্বাসের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়।
লেখক: শাহাবুদ্দিন আহমেদ
প্রকাশিত মুক্ত কলাম লেখকের একান্ত ব্যক্তিগত। সীমান্ত টিভি কর্তৃপক্ষ এর জন্য দায়ী নয়।
অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর: মাহাথীর খান ফারুকী, অনলাইন এডিটর: শাহীন আলম জয়
নিউইয়র্ক অফিস: ৩৯৪৭,৬৩ স্ট্রিট, ফ্লোর-০১, উডসাইট, এনওয়াই-১১৩৭৭, নিউইয়র্ক সিটি, ইউএসএ। ফোন: +১(৩৪৭)৭৪১৪৬২৯
নিউজ ই-মেইল:- simantonewstv@gmail.com
©️২০২৫ সর্বস্বত্ব ®️ সংরক্ষিত। সীমান্ত টিভি