• সারাদেশ
  • শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন গ্রেফতারের ঘটনা চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলছে..

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন গ্রেফতারের ঘটনা চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলছে..

৯:২৩ পূর্বাহ্ণ , ২৯ মে ২০২৫
শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন গ্রেফতারের ঘটনা চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলছে..

সীমান্ত টিভি প্রতিবেদক: দেশের এক সময়ের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলি দাবি করেছেন, তাকে আড়াই বছর ধরে ‘আয়না ঘরে’ আটকে রাখা হয়েছিল। বুধবার (২৮ মে) বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এ দাবি করেন তিনি।

আদালতে সুব্রত বলেন, “২০২২ সালে আমাকে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে আড়াই বছর আয়না ঘরে আটকে রাখা হয়। আমাকে নানা শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। মাথায় রড দিয়ে মেরেছে, শরীরে অনেক আঘাত করেছে। ৫ তারিখ রাত ৩টার দিকে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমার কোনো পাওয়ার দরকার নেই। আমি চাইলে নিজেই টিভি খুলতাম, সাংবাদিক রাখতাম। এখন বলা হচ্ছে আমি চুরি করি, ছিনতাই করি। সব বানানো গল্প। আমাকে শুধু ব্যবহার করা হচ্ছে।”

মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোররাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ অভিযানে কুষ্টিয়া জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সুব্রত বাইন ও তার অন্যতম সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদকে। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সুব্রতের আরও দুই সহযোগী—শ্যুটার আরাফাত ও শরীফকে।

উল্লেখ্য, সুব্রত বাইন দেশের এক সময়কার কুখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসী। দীর্ঘদিন তিনি ভারতেও আত্মগোপনে ছিলেন বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে। তবে এবার গ্রেপ্তারের পর তার ‘আয়নাঘরে’ থাকার দাবি নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখন নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে, আদৌ কীভাবে ও কোথায় তিনি এই আড়াই বছর ছিলেন?