সাদপন্তীরা যে সন্ত্রাসী তা আবারো প্রমাণ করলো কি?

৫:১১ অপরাহ্ণ , ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
সাদপন্তীরা যে সন্ত্রাসী তা আবারো প্রমাণ করলো কি?

ধর্ম ও জীবন ব্যবস্থা:

গভীর রাতে ঘুমন্ত দ্বীনের দ্বায়ীদের উপর হামলা করে তারা কি বুঝাতে চাই? তাবলীগ জামাতের আসল রূপ তো ছিল একে অপরকে ক্ষমা করে দেওয়া, এখন তো দেখছি সা’দপন্তীদের মাঝে তাবলীগের কোনো আমলই নেই । তারা এখন হিংস দানবের রুপ ধারণ করেছে।

ছোট্ট বেলা থেকেই দেখে আসছি এই বরকতময় তাবলীগ জামাতের উসিলায় অনেক চোর, ডাকাত, যিনাকারী , সুদখোর , ঘোষখোর, অন্যের হক নষ্টকারী, এইসমস্ত ভাইয়েরা হেদায়েতের পথে এসেছে ‌। আল্লাহ যার তকদীরে যা লিখে রেখেছেন সেই হেদায়েত পাবে, আর যার তকদীরে হেদায়েত নাই সে তো গোমরাহ পথে চলেই যাবে, ইন্তেকালের আগে যদি হেদায়েত পায় , সেটা হবে পরম করুণাময় অতি দয়া ।

একজন ব্যক্তি সে শয়তানের ধোঁকায় পড়ে ইহুদীদের চক্রান্তে পড়ে ইহুদীদের এজেন্টা বাস্তবায়ন করতে ভুল পথে পা বাড়ায়ছে , তাই বলে তার সাথে আমি যাবো কেন? আমি দেখবো সঠিক রাস্তা কোনটা, সিরাতে মুস্তাকিমের রাস্তা কোনটা, আমি তো কোনো ব্যক্তি পুজারী হতে পারি না। আমাদের দেশে এমন সব লোক গুলো সাদ সাহেবের সাথে হাত মিলিয়েছেন। তাদের অনেকেই একসময় কুখ্যাত ডাকাত ছিল, সুদখোর, ঘোষখোর ছিল, তারা আবার পুনরায় আগের জায়গায় ফিরে গেলেন। মানে যদিও সুদ ঘোষের সাথে জড়িত আছে কিনা জানিনা, তবে গোমরাহীতে চলে গেলেন। আমরা আলেম ওলামা গণ মসজিদের মিম্বারে বসে, ওয়াজ মাহফিলে বসে, ইসলামী মহাসম্মেলনে গিয়ে, বলেছেন হেদায়েতের পথে ফিরে আসার জন্য। তারা কিন্তু আসেনি,
তারা এখন হিংসা দানবের মত রাস্তায় নেমেছে। গত কিছুদিন আগেই তো তাদের এক মুরুব্বি বলেছেন তাদের মহিলা শাখা আছেন যুব শাখা আছেন, তারা নাকি তাদের সেই শাখার লোকদের কে থামিয়ে রেখেছেন। আরো বলল তাদের নাকি সরকারের সহযোগিতা লাগবে না, তারাই নাকি যথেষ্ট হকপন্তীদের কে মাঠ থেকে সরাতে। এখন তো এমনটাই দেখছি জঙ্গি, সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করছে।

যদিও মূল ধারার তাবলীগ জামাতের কোনো সাথী কারো উপর হামলা করা দুরের কথা, কোনো ধরনের কটুক্তি করে কোনো কথা বলেনা । তারা সর্বোচ্চ শান্তি রক্ষা করে চলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শুনেছি সা’দপন্তীরা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম উনাদের সাথে কথা বলেছেন, উনারা বলেছেন তারা যেন টংগী ইজতেমা ময়দানের আশেপাশে না যায় , সমন্বয়করা আলোচনা করে ওদেরকে জানাবে। তারা এইটুকু সময় অপেক্ষা করতে পারে নাই। তাদের দ্বারা কিভাবে শান্তি আশা করা যায় ?
তারা তো এখন নিজেদেরকে সন্ত্রাস রূপে বাংলার জনগণকে জানিয়ে দিয়েছে। তাদের দ্বারা শান্তি আসবে না। তারা এখন হিংস দানবের রুপ ধারণ করে আছে।

শুনলাম সাদ গ্ৰুপের মুরুব্বির বোন জামাই মাহফুজ আনাম। তাবলীগের ভেতরে যা হচ্ছে পুরোটাই মাহফুজ আনামের খেলা এবার হিসেবটা মিলিয়ে নেন ৷ আমাদের দেশে অনেক বড় বড় আলেম ওলামাগণ আছেন আমার মতো নগন্য একজন আপনাদেরকে জ্ঞান দেয়ার মতো সক্ষমতা আমার নেই ৷ শুধু এতোটুকুই বলবো, আপনারা আশা করি তাদের ষ’ড়য’ন্ত্র বুঝবেন এবং প্রয়োজনে ভারত থেকে কোন অতিথি ছাড়াই এবারের ইজতেমা সম্পন্ন করবেন কারন বাংলাদেশে ভারতের চেয়ে আলেমের সংখ্যা কম নেই ৷ ভারত থেকে কেউ যদি আসে তাহলে তারা সাধারন মেহমান হিসেবে থাকতে পারে, কোন নেতৃত্ব তাদের হাতে দেয়া উচিত হবে না ৷

একজন গবেষক আলেমকে জিজ্ঞাসা করি তাবলীগের বিদ্যমান দুটি গ্রুপের সমাধান কিভাবে? প্রতিউত্তরে “বলেন” যে কোনো সংস্কারমূলক বিষয়ে শত বছর পর একটি পরিবর্তন আসে, তাবলীগের অবস্থাও তাই। একে নতুন করে ঢেলে সাজিয়ে মূলনীতি ঠিক রেখে কাজের ধারায় পরিবর্তন আনতে হবে। শক্তভাবে বললে, আমি মনে করি এ ধরনের গ্রুপিং করে ইজতেমা করার কিছু নেই কারন এটা ফরজ কিছু না৷ তাই আমি মনে করি, ইজতেমা ময়দানে এই বছর ইজতেমা বন্ধ থাকুক।

হকপন্তীরা যার যার জেলা শহরে ইজতেমা করুক। দুই-চার জন মানুষকে যারা এভাবে হত্যা করতে পারে , তাদের কাছে গিয়ে আখেরি মুনাজাত করে কিছু চেয়ে পাওয়া যাবে বলে মনে হয়না ৷ আমি জানিনা আমার মুরুব্বিরা কি সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা যেন তাড়াতাড়ি হয়, কারণ কোনো ব্যক্তি পুজারীর হাতে আর কোনো দ্বীনের দ্বায়ীকে শহীদ হতে দেওয়া যায় না। আমার লেখায় কোন ভুল থাকলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

লেখক
মাওঃ মুফতী মোঃ আনিছ চৌধুরী সুহিলপুরী

আমীর
এসো কোরআন হাদিসের পথে ও
সভাপতি
ইউনুছিয়া প্রাক্তন ছাত্র ফাউন্ডেশন