• সারাদেশ
  • হেডলাইট নষ্ট, টর্চলাইট ও হর্ন বাজিয়ে আখাউড়ায় পৌঁছাল পারাবত এক্সপ্রেস।

হেডলাইট নষ্ট, টর্চলাইট ও হর্ন বাজিয়ে আখাউড়ায় পৌঁছাল পারাবত এক্সপ্রেস।

১:৫৭ অপরাহ্ণ , ৩১ মে ২০২৫
হেডলাইট নষ্ট, টর্চলাইট ও হর্ন বাজিয়ে আখাউড়ায় পৌঁছাল পারাবত এক্সপ্রেস।

শাহাবউদ্দিন আহমেদ, আখাউড়া প্রতিবেদক: সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের লোকোমোটিভের (ইঞ্জিন) হেডলাইট হঠাৎ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিপজ্জনক এই যাত্রা শেষ পর্যন্ত টর্চ লাইটের আলো ও টানা হর্ন বাজিয়ে সম্পন্ন করে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার আজমপুর রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছায়। এতে ট্রেনটি দুই ঘণ্টার বেশি সময় বিলম্বে চলাচল করে।

ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে। জানা যায়, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সিলেট স্টেশন থেকে পারাবত এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। যাত্রাপথে নোয়াপাড়া স্টেশনে যাত্রাবিরতির পর আবার ঢাকার পথে রওনা দিলে বিজয়নগরের মুকুন্দপুর এলাকায় ট্রেনটির ইঞ্জিনের প্রধান হেডলাইট হঠাৎ করে বিকল হয়ে পড়ে।

লোকোমাস্টার ও রেলওয়ের কারিগরি কর্মীরা দীর্ঘ সময় ধরে হেডলাইট মেরামতের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে বিকল্প উপায় হিসেবে ইঞ্জিনের সামনে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে এবং নিয়মিত হর্ন বাজিয়ে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই অবস্থায় ট্রেনটি মুকুন্দপুর থেকে আজমপুর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। অস্বাভাবিক এই পরিস্থিতিতে যাত্রীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দেয়। বিশেষ করে অন্ধকারে টর্চের আলো এবং টানা হর্নের শব্দে অনেকেই বিপদাশঙ্কায় ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রী জানান,
> “হঠাৎ ট্রেন থেমে যায়, কিছুক্ষণ পর টর্চের আলো দেখা যায় আর হর্ন বাজতে থাকে। শুরুতে ভেবেছিলাম বড় কোনো দুর্ঘটনা হয়েছে। পরে বুঝি হেডলাইট নষ্ট হয়েছে।”

রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা জানান,
> “বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। হেডলাইট হঠাৎ কাজ না করায় ট্রেন চালনায় বিঘ্ন ঘটে। তবে সতর্কভাবে বিকল্প পদ্ধতিতে ট্রেনটি স্টেশন পর্যন্ত আনা হয়। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।”