• সারাদেশ
  • ১৫ বছরের পর বিদায় আখাউড়ার প্রকৌশলী ফয়সালের

১৫ বছরের পর বিদায় আখাউড়ার প্রকৌশলী ফয়সালের

৬:২৫ পূর্বাহ্ণ , ২৯ মে ২০২৫
১৫ বছরের ভালোবাসার যাত্রার ইতি—বিদায় আখাউড়ার প্রিয় প্রকৌশলী

শাহাবউদ্দিন আহমেদ, আখাউড়া প্রতিবেদক: চাকরিজীবনের প্রথম কর্মস্থল আখাউড়া, বিদায়ে চোখ ছলছল ফয়ছেলের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায় সিক্ত ফয়ছেল আহাম্মদ।কাজের প্রতি নিষ্ঠা, সততা ও একাগ্রতার কারণে খুব অল্প সময়েই সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেন প্রকৌশলী ফয়ছেল। তার কক্ষ ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত। গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীত উপেক্ষা করে তিনি পৌরসভার উন্নয়ন কাজ ও সরকারি সেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন। রাস্তাঘাট কিংবা অন্য কোনো সমস্যা হলে তিনি নিজেই গিয়ে সমাধানে উদ্যোগ নিতেন।
দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের কর্মজীবনের ইতি টানলেন আখাউড়া পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. ফয়ছেল আহাম্মদ খান। বদলিজনিত কারণে বুধবার (২৮ মে) দুপুরে পৌর প্রশাসনের আয়োজনে এক আবেগঘন বিদায় সংবর্ধনায় তাঁকে অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় বিদায় জানায় পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বিদায় বেলায় কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে ফয়ছেল আহাম্মদ খানের। বলেন, “আখাউড়া আমার চাকরি জীবনের প্রথম কর্মস্থল। এখানকার মানুষের ভালোবাসা আমি কখনো ভুলবো না। তাদের সহযোগিতাই আমাকে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করেছে। পরে উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের উদ্যোগে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আরও একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি.এম. রাশেদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হিমেল খান, মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহান, আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

বক্তারা বলেন, “বদলি সরকারি চাকরির স্বাভাবিক নিয়ম হলেও ফয়ছেল আহাম্মদ খানের মতো একজন আন্তরিক ও ভদ্র প্রকৌশলীকে হারানো সত্যিই কষ্টদায়ক। তিনি ছিলেন কর্মনিষ্ঠ, হাস্যোজ্জ্বল এবং মানুষের পাশে থাকা একজন প্রকৃত সেবক। অনুষ্ঠানে ইউএনওসহ কর্মকর্তারা বিদায়ী প্রকৌশলীর হাতে শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট তুলে দেন। বিদায় মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুধীজনেরা। সবাই তাকে অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় বিদায় জানান।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে ফয়ছেল আহাম্মদ খান বলেন, “আমি সর্বদা চেষ্টা করেছি সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে। আখাউড়ার মানুষের ভালোবাসা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। আমি তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ।