
সাগর দেব, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ ময়নামতি সমেষপুর, কুমিল্লার একটি জনপদ, যেখানে বহু গুণীজনের জন্ম হয়েছে। এই জনপদের গর্বিত সন্তান মাসুদুর রহমান আজ দেশের মানুষ এবং সমাজের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে চলেছেন।
তিনি কেবল একজন প্রবাসী নন, বরং এক দক্ষ সংগঠক, নিষ্ঠাবান সমাজসেবক এবং একজন নিরলস পরিশ্রমী মানবিক মানুষ। বর্তমানে তিনি ময়নামতি প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার সম্মানিত সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ময়নামতি প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা সকল প্রবাসী বাঙালিদের নিয়ে গঠিত একটি মানবিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন, যেটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রবাসীদের কল্যাণ, দুঃস্থদের সহায়তা এবং দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে মাসুদুর রহমান নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।
তাঁর নেতৃত্ব ও উপস্থিতি সংস্থার কার্যক্রমে এক নতুন মাত্রা এনেছে। প্রবাসীদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা, বিভিন্ন সেবামূলক উদ্যোগ বাস্তবায়ন এবং দেশের সঙ্গে প্রবাসীদের দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
মাসুদুর রহমান শুধুমাত্র একটি সংগঠনের মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত থেকে সমাজের উন্নয়নে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে চলেছেন।
বিশেষ করে সমাজের নিম্নআয়ের মানুষ, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা, অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো—এসব তাঁর মানবিক কাজেরই অংশ। তিনি বিশ্বাস করেন, “মানবসেবা হচ্ছে ইবাদতের সমান।” এই আদর্শকে ধারণ করেই তিনি প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন, নীরবে-নিভৃতে।
ব্যক্তিজীবনে তিনি অত্যন্ত নম্র, সদালাপী ও পরোপকারী মানুষ। প্রবাসে থাকলেও দেশের প্রতি তাঁর টান এবং মানুষের প্রতি মমত্ববোধ অসাধারণ। তাঁর মধ্যে নেতৃত্বগুণ ও সংগঠকসুলভ দক্ষতা স্পষ্ট। একজন সজ্জন, বিচক্ষণ এবং নিষ্ঠাবান ব্যক্তি হিসেবে তিনি সমাজে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
সমাজসেবায় নিজেকে আরো গভীরভাবে নিয়োজিত করার লক্ষ্যে মাসুদুর রহমান ভবিষ্যতে একটি পূর্ণাঙ্গ সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছেন, যেখানে প্রবাসী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে একে অপরকে সহযোগিতা করার একটি বৃহৎ প্ল্যাটফর্ম তৈরি হবে।
তিনি মনে করেন, “আমরা যদি সকলে মিলে এগিয়ে আসি, তাহলে সমাজের কোনো মানুষ পিছিয়ে থাকবে না। দেশের উন্নয়ন শুধু সরকারের একার দায়িত্ব নয়; সমাজের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে।”
মাসুদুর রহমানের কর্ম, চিন্তা এবং মানসিকতা তাঁকে অন্য সবার থেকে আলাদা করেছে। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা, দায়িত্ববোধ এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি সত্যিকার অর্থেই প্রশংসার যোগ্য। প্রবাসে থেকেও তিনি প্রমাণ করেছেন, দেশপ্রেম মানে শুধু আবেগ নয়, বরং কাজের মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত দেশপ্রেমের পরিচয়।
তাঁর মতো ব্যক্তিত্ব আমাদের সমাজে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করেন। সমাজ ও জাতি গঠনে তাঁর এই অনন্য ভূমিকা যেন আরও বিস্তৃত হয়—এই কামনায় রইল আমাদের শুভকামনা।
মন্তব্য লিখুন
আরও খবর
একজন সমাজসেবকের নিরলস পথচলা
একজন সমাজসেবকের নিরলস পথচলা
আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমসি বাণিজ্য: রোগীর কাছ থেকে...
আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমসি বাণিজ্য: রোগীর...
ভারতে ছয় ধরণের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ: আখাউড়া স্থলবন্দরে...
ভারতে ছয় ধরণের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ:...
আখাউড়ায় লিচু গাছ থেকে পড়ে ১ যুবকের মর্মান্তিক...
আখাউড়ায় লিচু গাছ থেকে পড়ে ১...
আখাউড়ায় জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত নেতাদের গণসংবর্ধনা ও আনন্দ...
আখাউড়ায় জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত নেতাদের গণসংবর্ধনা...
বকেয়া বেতনের দাবিতে টঙ্গীতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
বকেয়া বেতনের দাবিতে টঙ্গীতে শ্রমিকদের সড়ক...