• জাতীয়
  • সরবরাহ কম এবং চাঁ’দা’বাজির কারণেই ইলিশের দাম বাড়ছে: মৎস্য উপদেষ্টা

সরবরাহ কম এবং চাঁ’দা’বাজির কারণেই ইলিশের দাম বাড়ছে: মৎস্য উপদেষ্টা

৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ , ২১ জুলাই ২০২৫
সরবরাহ কম এবং চাঁদাবাজির কারণেই ইলিশের দাম বাড়ছে: মৎস্য উপদেষ্টা

সীমান্ত টিভি নিউজ ডেস্ক: সরকারি হিসাবে ভরা মৌসুমে ইলিশের উৎপাদন কিছুটা বাড়লেও বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে চাঁদাবাজি ও সরবরাহ সংকটকে দায়ী করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

রবিবার (২১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সরবরাহ কম এটাই প্রধান কারণ। আর চাঁদাবাজিও আছে, যেটা এখনো পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি।

উপদেষ্টা জানান, চলতি বছর ইলিশের ভরা মৌসুম শুরু হয়েছে। ১২ জুন থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৭৯০ মেট্রিক টন ইলিশ আহরিত হয়েছে। জাটকা রক্ষা সপ্তাহসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ইলিশ সংরক্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদন ৫ লাখ ৩৮ হাজার থেকে ৫ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টনের মধ্যে হতে পারে। তবে গত বছরের মতো উৎপাদন কমে যাওয়ার ঝুঁকি এখনও বিদ্যমান।

জাটকা নিধন বন্ধে চলমান অভিযানের বিষয়ে ফরিদা আখতার বলেন, জেলা প্রশাসন, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশের যৌথ অভিযানে জাটকা সংরক্ষণের চেষ্টা চলছে। তবে নদীর নাব্যতা হ্রাস, দূষণ, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে সমস্যা থেকেই যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, “গত কয়েক সপ্তাহের অতিবৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে অনেক জেলে নদীতে নামতে পারেননি। তবে যারা গেছেন, তারা কিছুটা হলেও মাছ পাচ্ছেন।

বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় এক কেজির নিচে ওজনের ইলিশের দাম ২ হাজার টাকার বেশি, যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে বলে মন্তব্য করেন ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, বাজারে সরবরাহ বাড়লে দামও স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।

এ সময় তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকেও ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বরিশাল ও চট্টগ্রামে তুলনামূলকভাবে ইলিশের দাম কম।

বিদেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ইলিশ রপ্তানির পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে এক বা দুইটি দেশে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশি প্রবাসীদের সংখ্যা বেশি।

 

মন্তব্য লিখুন

আরও খবর