• জাতীয়
  • ক্ষুদ্রঋণই ভবিষ্যতের ব্যাংকিং: প্রধান উপদেষ্টা

ক্ষুদ্রঋণই ভবিষ্যতের ব্যাংকিং: প্রধান উপদেষ্টা

৬:৫৪ পূর্বাহ্ণ , ১৮ মে ২০২৫
ক্ষুদ্রঋণই ভবিষ্যতের ব্যাংকিং: প্রধান উপদেষ্টা

সীমান্ত টিভি নিউজ ডেস্ক: বিশ্বনন্দিত নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মাইক্রোক্রেডিটই আগামী দিনের ব্যাংকিং ব্যবস্থার মূলভিত্তি হবে। এজন্য মাইক্রোক্রেডিটকে এনজিও ভাবনার গণ্ডি থেকে বের করে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংকিং কাঠামোর আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার (১৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ইউনূস।

তিনি আরো বলেন, মাইক্রোক্রেডিট এখনো এনজিও। এই এনজিও থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। এনজিও পর্যায়ে থেকে গেলে ব্যাংকিং মেজাজ আসবে না। ব্যাংকিং মেজাজে আসতে হলে এটাকে ব্যাংক হতে হবে। মাইক্রোক্রেডিটের জন্য আলাদা আইন করতে হবে।

গ্রামীণ ব্যাংকের শুরুর সময়কার স্মৃতিচারণা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যখন গ্রামীণ ব্যাংক করলাম, তখন আপত্তি উঠল এটাকে ব্যাংক বলা যাবে কি না। আমরা বললাম, আমাদেরটাই প্রকৃত ব্যাংক, তোমাদেরটা লোকদেখানো। ব্যাংক যে শব্দ থেকে উৎপন্ন হয়েছে সেটা হলো ট্রাস্ট, তোমরা যেটা করছো সেটা ডিসট্রাস্ট।

আমাদের ব্যাংকিং মানুষের বিশ্বাসের ভিত্তিতে হয়েছে। জামানতবিহীন ব্যাংক, বিশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা টাকা দিই।’
তিনি বলেন, ‘আজ এমন সময় আমরা আলাপ করছি যখন জামানতওয়ালা ব্যাংক, যারা নিজেদের প্রকৃত ব্যাংক বলে দাবি করত তাদের অনেকে আজ হাওয়া। টাকা নিয়ে লোপাট। ব্যাংক শেষ।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কে হবে এ নিয়ে শুধু বাংলাদেশ না, যে দেশেই মাইক্রোক্রেডিট হয়েছে সে দেশই সমস্যায় পড়েছে।
তিনি বলেন, আমি তাদের বারবার বলে এসেছি, তোমাদের এত কিছু চিন্তা করতে হবে না। কারণ বাংলাদেশ এর সমাধান দিয়ে দিয়েছে। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি শুধু যে বাংলাদেশের জন্য কাজ করেছে তা না, এটা আন্তর্জাতিকভাবে অনেক দেশের জন্য সহায়ক হয়েছে।