• মতামত
  • খুনিরা ‘৭৫ এ খুন করেছিল; ২৪ এ ব্যর্থ – হাসিনা এখনো জীবিত

খুনিরা ‘৭৫ এ খুন করেছিল; ২৪ এ ব্যর্থ – হাসিনা এখনো জীবিত

৫:৩২ অপরাহ্ণ , ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
খুনিরা '৭৫ এ খুন করেছিল; ২৪ এ ব্যর্থ - হাসিনা এখনো জীবিত।

পৃথিবীর কোন আইনে খুনের অপরাধকে বাহাদুরী বলা হয়নি। অপরাধীকেও খুন করার বিধান আধুনিক আইনে নেই। ইসলামী আইনেও চরম নিষেধ রয়েছে। বাংলাদেশেই একমাত্র ব্যতিক্রম খুনি এবং খুনের অপরাধকে যুক্তির বৈধতা,অনৈতিক প্রচেষ্টা দৃশ্যমান। আবার সেই খুনের সাথে জড়িত থাকা ব্যক্তিবর্গ যদি হয় সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত কর্মকর্তা; তা হবে দ্বৈত অপরাধ এক “দেশদ্রোহিতা” আরেক “মানুষ “হত্যার মতো জঘন্য পৈশাচিকতা। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় খুনের মধ্যে দিয়ে ন্যায় বিচার কখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যদিও পৃথিবীতে যত গুপ্ত হত্যা, প্রকাশ্য হত্যা,রাজনৈতিক হত্যা, কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যা, কথিত আদর্শ প্রতিষ্ঠার নামে হত্যাযজ্ঞ সবই সংঘটিত হয়েছে এবং হচ্ছে যৌক্তিক কিংবা পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে। পরিশেষে এসব হত্যাকাণ্ডে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।

সাদ্দাম হোসেনকে মেরে ইরাকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা যায়নি, গাদ্দাফিকে মেরে লিবিয়ায় এখনো ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা যায়নি বরং বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নাশকতাই শুধু প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একাত্তরের খুনিরা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ওয়াদা দিচ্ছে। যেখানে তাদের নিজেদের দলই অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা এখন বাংলাদেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনীর বিপথগামী সদস্যরা দুজন রাষ্ট্র প্রধানকে হত্যা করেছে। দু:শাসনের দোহাই দিয়ে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে দেশ শাসন করেছে। কিন্তু ‘ন্যায় বিচার’ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার দিয়ে নিজেরাই দুর্নীতিগ্রস্ত এবং বিচারহীনতার দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় অসহিষ্ণু বাংলাদেশী ক্ষমতালোভীরা রাষ্ট্রক্ষমতা  দখলের জন্য ২০২৪ এ সেই পুরনো হত্যার রাজনীতি ফিরিয়ে এনেছে। মহৎ উদ্দেশ্য দেখিয়ে, দুঃশাসনের অবসানের নামে সরকার প্রধান কে হত্যার পরিকল্পনা হাতে নেয়। কিন্তু হত্যা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর বেঁচে যাওয়া দুই কন্যাকে ২০২৪ এ হত্যা করে, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার আসফালন সফল হয়ে ওঠেনি। ইউনুস সরকার এখনো সাধারন মানুষের জীবনযাপনে নিরাপদ বন্দোবস্ত টুকু করতে পারেনি। কিন্তু ২০২৪ এ সরকার পতনের মধ্যে দিয়ে জাস্টিস প্রতিষ্ঠাই মুখ্য প্রতিশ্রুতি ছিল। একটি সরকার বাতিল করে আরেকটি সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হয় যে, তারাই শাসনে সেরা।
সেরা মানুষ যে, সেরা’ শাসক’ নাও হতে পারে তাই প্রমাণ করতে যাচ্ছে” ইউনুস সরকার”।

লেখক
সিনিয়র সাংবাদিক মাহাথীর খান ফারুকী