• সারাদেশ
  • ভারতে ছয় ধরণের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ: আখাউড়া স্থলবন্দরে রপ্তানি কার্যক্রমে অচলাবস্থা

ভারতে ছয় ধরণের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ: আখাউড়া স্থলবন্দরে রপ্তানি কার্যক্রমে অচলাবস্থা

৪:০৫ অপরাহ্ণ , ১৯ মে ২০২৫
শাহাবউদ্দিন আহমেদ, আখাউড়া প্রতিবেদক:

শাহাবউদ্দিন আহমেদ, আখাউড়া প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে রপ্তানি কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের ছয় ধরণের পণ্য আমদানির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ভারত সরকার। এ তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয় ও কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা ও সুতার উপজাত এবং আসবাবপত্র। এর মধ্যে তৈরি পোশাক ও কাঠের আসবাব বাদে বাকি পণ্যগুলো নিয়মিতভাবে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হতো। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে হুমকির মুখে পড়বে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য।

আজ (১৯মে) সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাত্র ১৬টি গাড়িতে তিনটি পণ্য রপ্তানি হয় ৮টি গাড়িতে ৩৭ মেট্রিকটন বরফায়ীত মাছ, ৭টি গাড়িতে ৮৬ মেট্রিকটন ভোজ্যতেল এবং একটি গাড়িতে ১৯ মেট্রিকটন পাটজাত পণ্য ত্রিপুরার আগরতলায় পাঠানো হয়। যেখানে আগে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে রপ্তানিমুখী গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা যেত, সেখানে এখন কার্যত শুনশান। বন্দরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করছেন।

স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৪২৭ কোটি ৮৮ লাখ ৭২ হাজার ৪৩০ টাকার ৫৪ হাজার ৪৪২ দশমিক ২২ টন পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এ পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ৪৫৩ কোটি ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৩ টাকার ৩৮ হাজার ৮৮৭ দশমিক ১৩ টন পণ্য। অন্যদিকে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে আমদানি হয়েছে ৭ কোটি ৫ হাজার ২০৩ টাকার ৩৮ হাজার ৭৮৩ টন পণ্য, যেখানে রাজস্ব আদায় হয় ৪ কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৪৬ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ৪ কোটি ৭১ লাখ ৪৪ হাজার ৪৮১ টাকার ১০৬ টন পণ্য আমদানি হয়েছে, যা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭১ লাখ ৩০ হাজার ৯৪০ টাকা।

জানা গেছে ”প্রজ্ঞাপনে দুই-একটি পণ্য বাদে প্রায় সবই বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। প্রাণ, আরএফএল, হাশিম ফুডসের মতো বড় কোম্পানিগুলোর পণ্যও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে। এতে বড়-ছোট সব ব্যবসায়ীর বাণিজ্য থমকে গেছে। আমরা

আখাউড়া স্থলবন্দরের মৎস্য রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, “কিছুদিন আগেই ট্রানশিপমেন্ট বন্ধ করেছে ভারত, এখন আবার মাছ, পাথর ও তেল বাদে সব পণ্য বন্ধ করে দিয়েছে। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ীই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমরা বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে যাচ্ছি। দুই দেশের সরকারকে দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করার অনুরোধ জানাচ্ছি।”

মন্তব্য লিখুন

আরও খবর